এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী৷
যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রবাসে থাকায় তার পৈত্রিক সম্পত্তি আমন রকম ১ একর ভূমি একটি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক জোরপূর্বক জবরদখল করিতে মরিযা হয়ে উঠেছে৷
এঘটনায় প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর শ্যালক একই উপজেলার গজনাইপুর ইউপির সাতাইহাল গ্রামের জাহিদুর রহমান নামের যুবক বাদী হয়ে গত ২৩ শে মে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷
অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত রয়েছে৷
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভগ্নিপতি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রবাসে থাকায় - পাওয়ার অব অ্যাটর্নি 'র মাধ্যমে তিনি তার সম্পদ দেখা শুনা করেন৷
আউশকান্দি মৌজাধীন জে,এল নং ১২৭, খতিয়ান নং-২১০,২১১,দাগ নং - ৪০৭,৪০৮ খতিয়ান নং -২০৬, দাগ নং - ৩৫২,৩৫৪, সহ বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে ,মোট মোয়াজি ১০০ শতক ( ১.০০ একর) আমন রকম ভূমি৷ উক্ত ভূমি আউশকান্দি ইউনিয়নের ছিট ফরিদপুর গ্রামের আনছার আলীর পুত্র সরদার আবজাল মিয়া, বৈঠাখাল গ্রামের সৈয়দ আমদ মিয়ার পুত্র সৈয়দ আলী আকবর, মুকিমপুর গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে সেবিনা খাতুন ও মৌলভীবাজার জেলা সদরের কেশবচর গ্রামের আনছার মিয়া নামের বিবাদীদের নামে উক্ত উল্লেখিত ভূমি বিভিন্ন কৌশলে নামজারী করাইয়াছিল৷ উক্ত নামজারী বাতিলের জন্য জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে নবীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে বিবিধ মামলা নং ১৬৫/ ২০২৪-২০২৫ দায়ের করেন৷ যাহা বিচারাধীন রয়েছে৷ মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বিবাদীগন গত ২৩ মে সকাল অনুমান ৮ ঘটিকায় তফশিল বর্ণিত ভূমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে মাটি খনন ও ভরাটের কাজ করিয়া আসছিল৷ এমতাবস্থায় জমির মালিক পক্ষের বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক জমি দখলের নানা ধরনের চেষ্টা এবং হুমকি দেন প্রভাবশালীরা৷
এঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এরই প্রেক্ষিতে এস,আই আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সর্দার আবজাল মিয়া গংদের ঘর নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে বলেন৷ এতে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়৷ তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানান৷ এ বিষয়ে ঘর নির্মাণকারী সর্দার আবজাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খরিদাসূত্রে মালিকানাধীন ভূমিতে তিনি ঘর নির্মাণ কাজ করছেন, জবরদখলের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন৷
এ ব্যাপারে এস,আই আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং কাজ বন্ধ রয়েছে বলেও এ প্রতিনিধিকে জানান৷